কারো সালামের জবাব দেওয়া এবং তাকে আবার সালাম দেওয়া কি জায়েয? taqwa-dawah

 

কারো সালামের জবাব দেওয়া এবং তাকে আবার সালাম দেওয়া কি জায়েয?



প্রশ্ন: কারো সালামের জবাব দেওয়া এবং তাকে আবার সালাম দেওয়া কি জায়েয? বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কি এটা একটা প্রচলিত রীতি, যেমনটা করার ক্ষেত্রে দেখা যায়?

কারো সালামের জবাব দেওয়া এবং তাকে আবার সালাম দেওয়া কি জায়েয?

উত্তর: হাদিসে বলা হয়েছে যে, যখন একজন মুসলিম অন্য মুসলিমের সাথে দেখা করে, তখন তাকে সালাম দেওয়া উচিত। তাই যখন দুজন মুসলিম দেখা করে, তখন একজন অন্যজনকে সালাম দেয় এবং অন্যজন উত্তর দেয়। হাদিসে এটাই বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ সালাম দেওয়ার পর সালাম দেওয়ার ব্যাপারে কুরআন বা হাদিস থেকে বা পণ্ডিতদের কাছ থেকে কোনও মন্তব্য আমি পাইনি। ইসলামী আইনের রীতি-নীতি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে তৈরি, তাই এই বিষয়ে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ না জেনে কাজ করা উপযুক্ত হবে না। সালাম দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। যদি কেউ এভাবে তাকে আবার সালাম দেয়, তাহলে তাকে ফেরত দেওয়া উচিত নয়। এই ধরনের রীতি-নীতি অবশ্যই পরিত্যক্ত। কারণ আয়েশা (রাঃ) বলেছেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরীয়তে এমন কিছু উদ্ভাবন করে যার জন্য আমাদের কোন নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (সহিহ বুখারী, হা/২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হা/১৭১৮; মিশকাত, হা/১৪০)। বরং, সর্বদা প্রথমে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। কারণ আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম দেয় তাকে সর্বোত্তম বলেছেন। আবু উমামা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই ব্যক্তি যে প্রথমে সালাম দেয়।’ (আবু দাউদ, হা/৫১৯৭; সিলসিলা সহীহা, হা/৩৩৮২)। আর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যে ব্যক্তি আগে সালাম দেয় না তাকে সবচেয়ে কৃপণ বলেছেন (সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/২৬৬৩; মুসনাদে আবি ইয়ালা, হা/৬৬৪৯)।


আরো পড়ুনঃ 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url