সিয়াম কত প্রকার ও কি কি।ইসলামী শরীয়তে রমজানের সিয়ামের বিধান কি। সিয়ামের রোকন কয়টি ও কি কি। taqwa. Dawah.
সিয়াম কত প্রকার ও কি কি।ইসলামী শরীয়তে রমজানের সিয়ামের বিধান কি। সিয়ামের রোকন কয়টি ও কি কি।
উত্তর: সিয়াম প্রথমত: চার প্রকার। ফরজ, নফল, হারাম ও মাকরূহ।
ফরজ সিয়াম: আবার তিন প্রকার। (ক) রমজানের সিয়াম। (খ) কাফফারার সিয়াম। (গ) মান্নতের সিয়াম।
নফল সিয়াম: কয়েক প্রকার। (১) শাওয়াল মাসে ছয়টি সাওম। (২) জ্বিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন বিশেষ করে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকারী হাজীগণ ছাড়া সাধারণ মুসলমানদের জন্য আরাফাতের দিন সাওম। (৩) মুহাররম মাসের সাওম। বিশেষ করে আশুরার দিন ও তার আগের বা পরের দিন সহ। (৪) শাবান মাসের বেশির ভাগ অংশ সিয়াম পালন করা। (৫) 'আশহুরুল হুরুম' (জিলকদ, জিলহজ্জ, মুহাররম, রজব) মাসের সিয়াম। (৬) প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতি বারের সিয়াম। (৭) প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ (আইয়্যামে বিজ) এর সিয়াম। (৮) সাওমে দাউদ (একদিন পর একদিন সাওম রাখা অর্থাৎ একদিন সাওম রাখবে এরপর রাখবে না)।
হারাম সাওম: (১) দুই ঈদের দুইদিন। (২) 'আইয়্যামে তাশরিক' (কুরবানী ঈদের পর তিনদিন)।
মাকরূহ সাওম: (১) শুধু জুমুআর দিন খাস করে সাওম রাখা। কারণ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضى الله عنه - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - لَا يَصُمْ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا أَنْ يَصُومَ قَبْلَهُ أَوْ يَصُومَ بَعْدَهُ » . ( صحيح مسلم )
অর্থ: "আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: জুমু'আর দিন কেউ যেন সাওম না রাখে। কিন্তু যদি কেউ
১০ সহীহ ইবনে খুজাইমাহ ১৮৮৭।
জুমুআর দিনের আগে বা পরে একদিন সাওম রাখে তাহলে সে জুমু'আর দিন সাওম রাখতে পারবে। "১১
(২) শুধু শনিবার দিন সাওম রাখা। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে:
عن عبد الله بن بسر عن أخته : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تصوموا يوم السبت إلا فيما افترض الله عليكم فإن لم يجد أحدكم إلا لحاء عنبة أو عود شجرة فليمضغه (سنن الترمذي)
অর্থ: "আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা:) তার বোন থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, তোমরা শনিবার দিন ফরজ সাওম ব্যতিত অন্য কোন সাওম রাখিও না। এমনকি যদি তোমরা আংগুরের গাছের ছাল অথবা যে কোন গাছের ডাল ছাড়া অন্য কিছু না পাও তাহলে তাই চিবাবে।”১২ (তবুও শুধু শনিবারে সাওম রাখবে না কেননা এ দিনটাকে ইয়াহুদীরা সম্মান করে থাকে)।
(৩) 'ইয়াওমুশ শাক' বা 'সন্দেহের দিনের' সাওম। শাবান মাসের ২৯ তারিখে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ তারিখকে 'সন্দেহের দিন' বলা হয়। এই দিন সাওম রাখা নিষেধ। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে:
عن عمار بن ياسر : من صام اليوم الذي شك فيه فقد عصى أبا القاسم ( سنن الترمذي)
অর্থ: "আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিন সাওম রাখবে সে আবুল কাসেম (রাসূলুল্লাহ (সা:) এর বিরোধিতা করলো। "১৩ অপর এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - قَالَ « لَا تَقَدَّمُوا صَوْمَ رَمَضَانَ بِيَوْمٍ وَلَا يَوْمَيْنِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ صَوْمًا يَصُومُهُ رَجُلٌ فَلْيَصُمْ ذَلِكَ الصَّوْمَ » (سنن أبي داود للسجستاني)
১১ সহীহ মুসলিম ২৫৪৯।
১২ সুনানে তিরমিজি ৭৪৪; হাদীসটি সহীহ।
১০ সুনানে তিরমিজি ৬৮১;
অর্থ: "আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:)
বলেছেন, তোমরা রমজানের পূর্বে একদিন বা দুইদিন অগ্রিম সাওম রাখিও না। তবে যদি কোন ব্যক্তি ঐ দিন সাওম রাখতে অভ্যস্থ হয় তাহলে সে সাওম রাখতে পারবে। "১৪
এ হাদীসেও একদিন আগে চাঁদ দেখা যেতে পারে এই সন্দেহের উপর ভিত্তি করে একদিন বা দুইদিন আগে সাওম রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।
(৪) 'সাওমে দাহার'। নিষিদ্ধ দিবস সমূহ সহ সারা বছর সাওম রাখা। এ
প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা:)
বলেন:
عن عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا صَامَ مَنْ صَامَ الدَّهْرَ (البخاري)
অর্থ: "আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: যে ব্যক্তি সারা বছর সাওম রাখল তার কোন সাওম নাই।" ১৫
(৫) স্বামী বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ব্যতিত স্ত্রী নফল সাওম
রাখা। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَوَلَا تَصُومُ امْرَأَةٌ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ يَوْمًا غَيْرَ رَمَضَانَ إِلا بإذنه مسند احمد و البخاري ومسلم بتغيير يسير
অর্থ: "আবূ হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:)
বলেছেন: কোন মহিল স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতিত রমজানের সাওম ছাড়া কোন নফল সাওম রাখবে না। "১৬
(৬) 'সাওমে বেসাল' একাধারে কোন প্রকার ইফতার বা রাতের খাবার গ্রহণ করা ছাড়া কয়েকদিন সাওম রাখা। এ ধরণের সাওম আল্লাহর রাসূল (সা:) নিজে রাখতেন তবে উম্মতের জন্য নিষেধ করেছেন। যা নিম্নের হাদীসটিতে কারণসহ উল্লেখ রয়েছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاكُمْ وَالْوِصَالَ قَالَهَا ثَلَاثَ مِرَارٍ قَالُوا فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِنَّكُمْ لَسْتُمْ فِي ذَلِكَ مِثْلِي إِنِّي
১৪ সুনানে আবু দাউদ ২৩৩৭। হাদীসটি সহীহ।
১৫ সহীহ বুখারী ১৯৭৯।
১৬ সহীহ বুখারি ৪৮৯৯ মুসনাদে আহমদ ৭৩৪৩ তিরমিজি ৭৮২।
أَبيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي فَاكْلَفُوا مِنْ الْعَمَلِ مَا تُطِيقُونَ (مسند أحمد
البخاري و مسلم
অর্থ: "আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: খবরদার! তোমরা সাওমে বেসাল থেকে বেঁচে থাক। একথাটি তিনি তিনবার বললেন। সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো 'বেসাল' করেন? রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন তোমরা এ ব্যাপারে আমার মতো নও। আমি যখন রাতের বেলায় ঘুমাই তখন আমার রব আমাকে খাওয়ান এবং পান করান। সুতরাং তোমরা যে পরিমাণ আমল করতে সক্ষম সে পরিমাণ দায়িত্ব নাও।”১৭
প্রশ্ন: ইসলামী শরীয়তে রমজানের সিয়ামের বিধান কি?
উত্তর: রমজান মাসের সিয়াম ফরজ এবং এটি ইসলামের 'পঞ্চবেনা'র একটি। কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারাও বিষয়টি প্রমাণিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ (সুব:) এরশাদ করেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ
تَتَّقُونَ [البقرة/360]
অর্থ: "হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। "১৮
এ আয়াতে আল্লাহ (সুব:) সুস্পষ্টভাবে রমজানের সিয়ামকে ফরজ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে আরো একটি বিষয় জানা গেল যে, সিয়াম পূর্ববর্তী নবীগণের উম্মতের উপরও ফরজ ছিল। পবিত্র কুরআনের আরো একটি আয়াত দ্বারা সিয়াম ফরজ প্রমাণিত হয়। ইরশাদ হচ্ছে:
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتِ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ [البقرة/sb]
অর্থ: "রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াত স্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার
১৭ সহীহ বুখারী ১৮৬৫ সহীহ মুসলিম ২৬২২ মুসনাদে আহমদ ৭১৬২।
১৮ সুরা বাকারা ১৮৩।
পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেহ মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। "১৯
এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তোমাদের মাঝে যে কেউ রমজান মাস পাবে তাকে অবশ্যই 'সাওম' রাখতে হবে। ইসলামের অন্যান্য বিধানের মতো সাওমও পর্যায়ক্রমে ফরজ করা হয়েছে। শুরুতে নবী (সা:) মুসলিমদেরকে মাত্র প্রতি মাসে তিন দিন সাওম পালন করার এবং আশুরার সাওম পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ সাওমসমূহ ফরজ ছিল না। তারপর দ্বিতীয় হিজরীর ২য় শাবান রমজান মাসে সাওমের এই বিধান কুরআনে নাজিল হয়। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (সা:) পবিত্র হাদীসে ইরশাদ করেন:
عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بُنيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسَةِ عَلَى أَنْ يُوَحَدَ اللَّهُ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَصِيَامٍ رَمَضَانَ وَالْحَجِّ (بخاري ومسلم)
অর্থ: "আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহর এককত্ব ঘোষণা করা, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রমজানে সিয়াম পালন করা এবং হজ্জ করা। "২০
এই হাদীসে ইসলামকে একটি তাবুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। যার পাঁচটি খুঁটি বা পিলার থাকে। ইসলামের এই পাঁচটি পিলারের একটি হলো 'সিয়াম'। রমজানের সিয়াম ফরজ এবং ইসলামের পঞ্চবেনার একটি এ ব্যাপারে গোটা মুসলিম উম্মাহ্ একমত। কারো কোন দ্বিমত নেই। যে ব্যক্তি সিয়াম ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করবে সে কাফের ও মুরতাদ বলে বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন: সিয়ামের রোকন কয়টি ও কি কি?
উত্তর: সিয়ামের রোকন বা ফরজ দুইটি।
প্রথমত: নিয়্যাত করা )الية(। অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে যে রকম নিয়্যাত করা ফরজ। ঠিক তেমনিভাবে সিয়ামের ক্ষেত্রেও নিয়্যাত করা ফরজ। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে:
১৯ সুরা বাকারা ১৮৫।
২০ সহীহ মুসলিম ১৯ নং হাদীস; সহহি বুখারী ৮ নং হাদীস; সুনানে তিরমিজি ২৬০৯ নং হাদীস।
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ [البيئة ]
অর্থ: "আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর 'ইবাদাত' করে তাঁরই জন্য দীনকে খালিস করে। "২১
এই আয়াতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেকোন ইবাদতে শুধুমাত্র আল্লাহ (সুব:) এর নৈকট্য লাভের খালেস নিয়্যাত করতে হবে। একারণেই যে কোন ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য দুটি শর্ত রয়েছে। একটি হলো 'ইখলাসুন নিয়্যাত' আর দ্বিতীয়টি হলো 'ইত্তিবাউসসুন্নাহ'।
নিয়্যাত খাঁটি না হলে শিরক হয়। আর শিরকযুক্ত ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অপরদিকে যত ইখলাসের সঙ্গেই ইবাদত করা হোক না কেন যদি 'ইত্তিবায়ে সুন্নাত' বা রাসূল (সা:) এর তরিকা অনুসরণ করা না হয় তাহলে সেটি হবে 'বিদআত'। ইবাদতের নামে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরআন-সুন্নাহর দলীল প্রমাণ ছাড়া নবআবিস্কৃত কোন বিদ'আতযুক্ত ইবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়্যাতের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা:) পবিত্র হাদীসে ইরশাদ করেন:
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا الْأَعْمَالُ
بالنية (رواه البخاري ومسلم)
অর্থ: "ওমর ইবনে খাত্তার (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, নিশ্চয়ই সকল আমল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল। "২২ এ হাদীসেও রাসূলুল্লাহ (সা:) পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন যে, নিয়্যাত ছাড়া কোন আমলই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আর সিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। তাই সিয়ামেও নিয়্যাত করা ফরজ।
fa 18 PIG CRICA الامساك عن المفطرات : 3 থাকা।
সিয়ামের দ্বিতীয় রোকন হচ্ছে সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সিয়াম বিনষ্টকারী কাজ যথা খানা-পিনা ও স্ত্রীসহবাস করা থেকে বিরত থাকা। কেননা কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে:
২১ সুরা বাইয়িনা ৫ নং আয়াত।
২২ সহীহ মুসলিম ৫০৩৬; সহীহ বুখারী ১ নং হাদীস।
فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ [البقرة/١٥٩] অর্থ: "অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান করো। আর আহার করো ও পান করো যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর।”২৩
এই আয়াতে সাদা রেখা বলতে দিনের আলো আর কালো রেখা বলতে রাতের আঁধারকে বুঝানো হয়েছে।
কিতাুস সাওম
লেখক: শায়খুল হাদীস মাওলানা জসিমউদদীন রহমানী দাঃবাঃ